করোনা পরবর্তী বাংলাদেশ এবং চাকরি প্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ
কোন সঙ্কট বা মহামরি চিরস্থায়ী নয় । এর অবসান একদিন ঘটবেই এই আশা বুকে ধারন করেই আমরা একটি নতুন সকালের জন্য অধির আগ্রহে দিন অতিবাহিত করছি। তবে নতুন সকালের ওই বাংলাদেশটা হবে আজকের বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন । করোনায় চাকরি হারিয়ে মানুষ আজ রাজধানী শহর ঢাকা ছেড়ে পাড়ি জমাচ্ছে আপন ঠিকানায়। খুব শীঘ্রই এই মহামারির অবসান ঘটবে না জেনেই অনেকেই জীবিকার তাগিদে পেশা হিসেবে বেঁছে নিবে কৃষি কাজ । গ্রামের অবহেলায় পড়ে থাকা জমিতে নানা ধরনের ফসল উৎপাদিত করে দেশের খাদ্যের চাহিদা পূরণে তাঁরা চেষ্টা করবে। পাশপাশি , নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিও ঘটাবে। গ্রামে ফিরে যাওয়া মানুষের একটি বড় অংশই কৃষি কাজে নিয়োজিত করার প্রধান কারন হবে মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা "অন্ন বা খাদ্যের চাহিদা" পুরনের লক্ষ্য। বেঁচে থাকার জন্য এখন আমাদের প্রধান চাহিদা হচ্ছে খাবার । এবং এই মহামারিতে অন্যান্য ভোগ-বিলাস সামগ্রির চাহিদা তেমন না থাকলেও খাবারের চাহিদা কোন ভাবেই কম হবেনা, বরং প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাবে।
করোনা পরবর্তী বাংলাদেশ এবং চাকরি প্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ
অন্যদিকে, বেকার সমাজের একটি বড় অংশ , নতুন করে চাকরি পাবার প্রত্যাশা ছেড়ে দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের উপায় বেঁছে নিবে। করোনা তাঁদের নতুন করে চিন্তা করতে সাহায্য করবে। এই দলের একটি অংশ অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে বেঁছে নিবে। কারন মহামারির সময় মানুষকে ঘরে বসিয়ে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ নিজ নিজ ঘরে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম উপায় হচ্ছে এই অনলাইন প্লাটফর্মগুলো । তবে এই তরুণের দল বাংলাদেশের অনলাইন প্লাটফর্মটাকে যে ব্যাপক পরিবর্তন ও সততার সাথে পরিচালনা করে নতুন এক ইতিহাসের সৃষ্টি করবে তা অনুমান করাই যায়।
করোনা পরবর্তী বাংলাদেশ এবং চাকরি প্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ |
করোনা পরবর্তী বাংলাদেশে অনেক ধরনের ব্যবসার অবসান ঘটবে কারন বেশীরভাগ ব্যবসায় অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং মানুষ অনলাইন থেকে পণ্য বা সেবা গ্রহন করতে পূর্বের সময়গুলো থেকেও অধিক আগ্রহ প্রকাশ করবে । পাশপাশি, দেশের বেকার সমাজ নিজেদের আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করায় সেখানে জনবলের প্রয়োজন হবে , এর ফলে অধিক লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। অনেক প্রতিষ্ঠান বাসায় বসেই অফিসের কাজগুলো সম্পাদন করা সম্ভব বিবেচনা করে করোনা পরবর্তী সময়ে বাসায় বসেই কাজ করার অনুমতি প্রদান করতে পারে এবং সপ্তাহে অথবা মাসে একদিন অফিসে এসে জরুরী সভা বা গুরুত্বপূর্ণ দিক - নির্দেশনা বা অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন করতে পারে।
পরিশেষে , করোনার পরবর্তী বাংলাদেশ হবে এক নতুন বাংলাদেশ , যেখানে চাকরির জন্য হাহাকার কমে যাবে এবং আত্মকর্মসংস্থানের পথে নিজেকে নিয়োজিত করার প্রবল ইচ্ছা ও সাহস বৃদ্ধি পাবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আজ গোটা বাংলা ।
আমিনুল ইসলাম অভি
0 Reviews:
Post Your Review